পরীক্ষায় ভালো করার জন্য পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার উপায় ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই। কিন্তু আমাদের তো পড়তে বসলেই মনের ভিতরে নানা রকম চিন্তা ভাবনা উঁকি দেয়, ফোন চালাতে ইচ্ছা করে এবং কিছুই পড়া হয় না। আপনি যদি এ ধরনের কোন সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

পড়াশুনায় মনোযোগী হওয়ার জন্য সঠিক স্থান নির্বাচন

আমাদের সার্বিক পরিবেশ মনের ওপরে বেশ ভালো প্রভাব বিস্তার করে। কেউ কেউ অবশ্য সব পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিতে পারে আবার কেউ কেউ পড়াশোনার জন্য নিরিবিলি পরিবেশ পছন্দ করে।

আপনি পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার জন্য ঠিক কি ধরনের স্থান পছন্দ করবেন সেটি প্রথমে নির্ধারণ করে নিন। তবে সে স্থানটি অবশ্যই এমন হওয়া উচিত যেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণ আলো রয়েছে, বাইরের কোলাহলের শব্দ একদম কম। সেই সাথে আপনাকে বিরক্ত করার মতো কেউ নেই।

তবে যে স্থানে বসে আপনি খাবার খান, আড্ডা দেন কিংবা মানুষের সাথে কথা বলেন এধরনের স্থানে পড়তে না বসাই ভালো।

বাস্তব পরিকল্পনা করা

আপনি পড়াশোনা করে বড় হয়ে কি হবেন, আপনার পড়াশোনার লক্ষ্য কি এ সম্পর্কিত সকল পরিকল্পনা করুন। আপনার যদি একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকে তাহলে আপনার সফলতা খুব দ্রুত আসবে।

উদ্দেশ্যহীন পড়াশোনা কিংবা কাজ কখনোই একজনের সফলতা বয়ে আনতে পারে না।

পড়াশুনার ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন

যেকোনো কাজেই একটানা অনেক সময় ধরে করতে গেলে সেটার উপরে বিরক্তি ধরে যায়। পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার উপায় গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে লেখাপড়ার মাঝে মাঝে বিরতি নেওয়া।

এই বিরতির সময়টুকুতে আপনি ব্যায়াম করতে পারেন, কিছু সময় ঘুমাতে পারেন, হাটতে যেতে পারেন কিংবা অন্য যেকোনো বিনোদনমূলক কাজ করতে পারেন।

বিষয় ভিত্তিক পড়াশুনা

আপনি আজকের দিনের কিংবা আগামী দুই-তিন দিনের পড়াশোনার একটা রুটিন করে ফেলুন। কোন বিষয়ে ঠিক কতটুকু করে সময় দিবেন সেই নির্ধারণ করা হয়ে গেলে আপনার পড়াশোনা অনেক বেশি প্রোডাক্ট হবে।

আপনি কোন সাবজেক্টে অনেক বেশি দুর্বল এবং কোন সাবজেক্টে বেশি সময় দেয়া উচিত সেটি নির্ধারণ করে পড়তে বসুন। সেই সাথে মনের মধ্যে সংকল্প করুন যে সেই টপিক্সটি আজকে শেষ করে ছাড়বেন।

নোট করা

আপনি কখন কোন বিষয় পড়ছেন এবং কোন কোন বিষয়ে পড়া বাকি আছে সেগুলো আলাদা একটি খাতায় নোট করে রাখুন। কিছুক্ষণ পর পর সেই নোটগুলি দেখার অভ্যাস করুন।

পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার উপায়

ফোন থেকে দূরে থাকুন

বর্তমান যুগে পড়াশুনায় মনোযোগী হওয়ার উপায় গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ফোন থেকে দূরে থাকা। কারণ আমাদের দৈনন্দিন জীবনের বেশিরভাগ সময় নষ্ট করে এই স্মার্টফোন। বলতে পারেন এটি হচ্ছে আমাদের কাজ ও পড়াশোনার সূত্র।

আপনি যদি নিজেকে অযথা স্মার্টফোন চালানোর অভ্যাস থেকে দূরে রাখতে পারেন তাহলে অন্য যে কোন কাজে মনোযোগ দিতে পারবেন।

আমার প্রতিদিন ঘন্টার পর ঘন্টা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অযথা স্কুল করে সময় নষ্ট করে।

নিজেকে পুরস্কার দিন

প্রতিটি লক্ষ্য অর্জনের পরিবর্তে কিছু পেলে সেই কাজের প্রতি আগ্রহ আরো অনেক বেশি বেড়ে যায়।

আপনি পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার পর কিংবা সঠিক লক্ষ্য অর্জনের পর নিজেই নিজেকে পুরস্কার দিন। এর মানে হচ্ছে আপনি চাইলে পছন্দের কিছু কিনে খেতে পারেন অথবা পছন্দের জিনিসপত্র কিনতে পারেন।

সেই সাথে বন্ধুদের সাথে ঘুরতে যেতে পারেন।

একসঙ্গে অনেক কাজ করা বাদ দিন

আমরা মাঝে মাঝে একসাথে অনেক গুলো কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। একই সাথে মোবাইল ব্যবহার করা এবং খাওয়া দাওয়া করা কিংবা টিভি দেখার সাথে সাথে অন্যান্য কাজ করা। এভাবে কাজ করলে কখনো সেই কাজটি সুন্দর হবে শেষ হয় না।

পড়াশোনার ক্ষেত্রেও ঠিক তেমন। পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার ক্ষেত্রে পড়াশুনার সময় অন্য কোন কিছু করা বা মনোযোগ দেওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখুন।

পরিমতো ঘুম

পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়া ছাড়াও যেকোনো কাজে মনোযোগ দেওয়ার জন্য পরিমাণ মতো ঘুমের কোন বিকল্প নেই। আপনার ঘুম যদি ভাল হয় তাহলে আপনি যে কোন কাজে সুন্দর ভাবে মনোযোগ দিতে পারবেন। তাই রাতে যত সম্ভব চেষ্টা করুন সঠিক সময় ধরে ঘুমানোর জন্য।

পৃথিবীতে সাকসেস বা সফল হওয়ার কোন শর্টকাট উপায় নেই। এর জন্য প্রয়োজন কঠোর পরিশ্রম এবং অধ্যাবসায়। পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার উপায় গুলো আপনাকে সেই সফলতায় পৌঁছে দিতে অনেক বেশি সাহায্য করবে।

শেখ হাসিনার চরিত্রে অভিনয় করবেন না অপু বিশ্বাস বিস্তারিত জানতে এখানে প্রবেশ করুন।