নোয়াখালীতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:১৩:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪ ৪১ বার পড়া হয়েছে

নোয়াখালীতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দেশের জনপ্রিয় উপজেলা নোয়াখালী বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। গত শুক্রবার রাত থেকে আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত ভারী বর্ষণে ফেনী ছোট নদী থেকে ধেয়ে আসা পানিতে নোয়াখালীর প্রায় ৮ টি উপজেলায় ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে।

নোয়াখালীর এই বন্যায় বেশিরভাগ রাস্তাঘাটের পানি ইতিমধ্যে ডুবে গিয়েছে। আর সবচাইতে নাজুক এবং বেহাল পরিস্থিতি হয়েছে নোয়াখালীর পৌরসভার মাইজদী শহরে।

গত শুক্রবার রাত থেকে সোমবার পর্যন্ত নোয়াখালীতে টানা ভারী বৃষ্টি হয়েছে। সেই সাথে ফেনীর ছোট নদী থেকে প্রচন্ড গতিতে পানি আসা রীতিমতো ভেসে যাচ্ছে জেলাটির ৮ টি শহর। নোয়াখালীর বন্যায় মাইজদীর ঢাকা নোয়াখালীর প্রধান সড়কটি ছাড়া প্রায় সকল রাস্তাঘাট পানির নিচে চলে গিয়েছে।

তার উপরে অধিকাংশ খাল বন্ধ থাকায় এই সকল বন্যা কিংবা বৃষ্টি পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যার কারণে অল্প বৃষ্টিতে এই মাইজদির শহর পানির নিচে তলিয়ে গিয়েছে।

এছাড়াও নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ, সোনাইমুড়ি, চাটখিল, সেনবাগ, কোম্পানীগঞ্জ, সুবর্ণচর ইত্যাদি উপজেলায় প্রায় সকল রাস্তাঘাট এবং বাড়িঘর পানির নিচে ডুবে গিয়েছে।

নোয়াখালীর বন্যা পরিস্থিতিতে কোন কোন বাড়ির আঙিনা ডুবে গেছে হাঁটু পানিতে, আবার কোন কোন বাড়ির আঙ্গিনা পেরিয়ে ঘরে ঢুকে পড়েছে পানি। ঘরের পানি ঢোকার কারণে বেশিরভাগ সাধারণ জনগণ চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।

নোয়াখালীতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

এদিকে নোয়াখালীর বন্যা পরিস্থিতিতে জেলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের উৎসব পর্যবেক্ষক আরজুল ইসলাম সাংবাদিকদের কে জানান, এখন পর্যন্ত এই জেলায় রবিবার দুপুর ১২ টা থেকে সোমবার দুপুর ১২ টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে প্রায় ৯৬ মিলিমিটার। শুধুমাত্র এই ২৪ ঘন্টায় ৯৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত অনেক বেশি।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আরো বলা হয় দেশজুড়ে মৌসুমী বায়ু এবং লঘু চাপের কারণে এরকম বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

এছাড়া নোয়াখালীর বন্যায় কবিরহাট উপজেলায় প্রায় ৫ দিন ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে ১ লক্ষ মানুষ পানি বন্দি অবস্থায় জীবন যাপন করছে। রাস্তাঘাট পানির নিচে চলে যায় ভেঙ্গে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। যার কারণে পানি বন্দী মানুষ কোথাও যেতে পারছে না এবং চরম ভোগান্তিতে জীবন যাপন করছে।

এছাড়া অতিরিক্ত আম বন্যার পানির কারণে তুলে গেছে কৃষি জমির ফসল এবং মাছের খামার গুলি। যার কারণে কর্মহীন হয়ে পড়ছে শত শত কৃষক এবং লোকসান গুনছেন অনেক মানুষ।

নোয়াখালীর বন্যা পরিস্থিতি উপলক্ষে উপজেলা বিভিন্ন মানুষের সাথে কথা বলা জানা যায়, উক্ত উপজেলার ধানশালিক ইউনিয়ন জনতা বাজার থেকে চর মন্ডলীয়া বাজার যাতায়াতের জন্য খালার মধ্যে একটি বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। পানি চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং এটিও খারাপ বন্যা পরিস্থিতির জন্য দায়ী।

যদি এই বাধটি কেটে দেয়া হয় তাহলে বন্যা পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হবে। তারা আরো অভিযোগ করেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি কিংবা উপজেলা প্রশাসন থেকে তারা এখন পর্যন্ত কোন সাহায্য পাননি। দেশটির রাজনৈতিক পরিস্থিতি পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে কোন জনপ্রতিনিধি দেখা যাচ্ছে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

নোয়াখালীতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

আপডেট সময় : ০১:১৩:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪

দেশের জনপ্রিয় উপজেলা নোয়াখালী বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। গত শুক্রবার রাত থেকে আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত ভারী বর্ষণে ফেনী ছোট নদী থেকে ধেয়ে আসা পানিতে নোয়াখালীর প্রায় ৮ টি উপজেলায় ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে।

নোয়াখালীর এই বন্যায় বেশিরভাগ রাস্তাঘাটের পানি ইতিমধ্যে ডুবে গিয়েছে। আর সবচাইতে নাজুক এবং বেহাল পরিস্থিতি হয়েছে নোয়াখালীর পৌরসভার মাইজদী শহরে।

গত শুক্রবার রাত থেকে সোমবার পর্যন্ত নোয়াখালীতে টানা ভারী বৃষ্টি হয়েছে। সেই সাথে ফেনীর ছোট নদী থেকে প্রচন্ড গতিতে পানি আসা রীতিমতো ভেসে যাচ্ছে জেলাটির ৮ টি শহর। নোয়াখালীর বন্যায় মাইজদীর ঢাকা নোয়াখালীর প্রধান সড়কটি ছাড়া প্রায় সকল রাস্তাঘাট পানির নিচে চলে গিয়েছে।

তার উপরে অধিকাংশ খাল বন্ধ থাকায় এই সকল বন্যা কিংবা বৃষ্টি পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যার কারণে অল্প বৃষ্টিতে এই মাইজদির শহর পানির নিচে তলিয়ে গিয়েছে।

এছাড়াও নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ, সোনাইমুড়ি, চাটখিল, সেনবাগ, কোম্পানীগঞ্জ, সুবর্ণচর ইত্যাদি উপজেলায় প্রায় সকল রাস্তাঘাট এবং বাড়িঘর পানির নিচে ডুবে গিয়েছে।

নোয়াখালীর বন্যা পরিস্থিতিতে কোন কোন বাড়ির আঙিনা ডুবে গেছে হাঁটু পানিতে, আবার কোন কোন বাড়ির আঙ্গিনা পেরিয়ে ঘরে ঢুকে পড়েছে পানি। ঘরের পানি ঢোকার কারণে বেশিরভাগ সাধারণ জনগণ চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।

নোয়াখালীতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

এদিকে নোয়াখালীর বন্যা পরিস্থিতিতে জেলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের উৎসব পর্যবেক্ষক আরজুল ইসলাম সাংবাদিকদের কে জানান, এখন পর্যন্ত এই জেলায় রবিবার দুপুর ১২ টা থেকে সোমবার দুপুর ১২ টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে প্রায় ৯৬ মিলিমিটার। শুধুমাত্র এই ২৪ ঘন্টায় ৯৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত অনেক বেশি।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আরো বলা হয় দেশজুড়ে মৌসুমী বায়ু এবং লঘু চাপের কারণে এরকম বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

এছাড়া নোয়াখালীর বন্যায় কবিরহাট উপজেলায় প্রায় ৫ দিন ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে ১ লক্ষ মানুষ পানি বন্দি অবস্থায় জীবন যাপন করছে। রাস্তাঘাট পানির নিচে চলে যায় ভেঙ্গে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। যার কারণে পানি বন্দী মানুষ কোথাও যেতে পারছে না এবং চরম ভোগান্তিতে জীবন যাপন করছে।

এছাড়া অতিরিক্ত আম বন্যার পানির কারণে তুলে গেছে কৃষি জমির ফসল এবং মাছের খামার গুলি। যার কারণে কর্মহীন হয়ে পড়ছে শত শত কৃষক এবং লোকসান গুনছেন অনেক মানুষ।

নোয়াখালীর বন্যা পরিস্থিতি উপলক্ষে উপজেলা বিভিন্ন মানুষের সাথে কথা বলা জানা যায়, উক্ত উপজেলার ধানশালিক ইউনিয়ন জনতা বাজার থেকে চর মন্ডলীয়া বাজার যাতায়াতের জন্য খালার মধ্যে একটি বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। পানি চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং এটিও খারাপ বন্যা পরিস্থিতির জন্য দায়ী।

যদি এই বাধটি কেটে দেয়া হয় তাহলে বন্যা পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হবে। তারা আরো অভিযোগ করেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি কিংবা উপজেলা প্রশাসন থেকে তারা এখন পর্যন্ত কোন সাহায্য পাননি। দেশটির রাজনৈতিক পরিস্থিতি পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে কোন জনপ্রতিনিধি দেখা যাচ্ছে না।