থাইরয়েড কমানোর উপায় কি কি

- আপডেট সময় : ০৭:২০:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ ৫৪ বার পড়া হয়েছে
চিকিৎসা গ্রহণের পাশাপাশি অনেকে জানতে চান ঘরোয়া পদ্ধতিতে থাইরয়েড কমানোর উপায় কি কি। আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা সঠিক খাদ্যাভাস নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমেই থাইরয়েড অনেক অংশে কমানো যায়।
থাইরয়েড একটি ছোট প্রজাপতির মতো দেখতে গ্রন্থি। যেটি আমাদের শরীরের অনেক বিপাকীয় প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে। এই থাইরয়েড রোগের প্রক্রিয়াটি আমাদের দেহের শক্তি নিয়ন্ত্রণের উপর বিরূপ প্রভাব বিস্তার করে। সেই সাথে থাইরয়েডের কারণে নানা বিধ দৈহিক সমস্যা দেখা দেয়। ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা থাইরয়েডের সবচাইতে বেশি আক্রান্ত হন।
চলুন জেনে নেই থাইরয়েড কমানোর উপায় গুলো কি কি
সুষম খাদ্যাভ্যাস তৈরি করা
সুষম খাদ্যাভ্যাস গড়ার মাধ্যমে থাইরয়েড সহ সকল রোগ থেকে আমরা দূরে থাকতে পারি। থাইরয়েড রোগের জন্য অবশ্যই যে কোন প্রক্রিয়াজাত খাবার জাঙ্ক ফুড, চা, ক্যাফেইন যুক্ত খাবার, অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার ইত্যাদি সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে চলতে হবে।
সেই সাথে বেশি বেশি ফলমূল যেমন বেড়ি, আপেল, কমলা, আনারস ইত্যাদি খেতে হবে। কিন্তু বাঁধাকপি, ফুলকপি কিংবা ব্রকলি খাওয়া যাবে না।
দুগ্ধজাত খাবার যেমন দই, মাখন ইত্যাদি বাদ দিতে হবে কারণ এগুলো শরীর হরমোনের ভারসাম্যকে পরিবর্তিত করে ফেলে। থাইরয়েড কমানোর উপায় গুলোর মধ্যে খাদ্য অভ্যাস নিয়ন্ত্রণ সবচাইতে বেশি কার্যকরী।
জীবন যাপনে পরিবর্তন
অগোছালো জীবন যাপনে বেশি বেশি রোগ জীবাণু বাসা বাঁধে। এছাড়া এতে শারীরিক ও বিভিন্ন রকমের মানসিক সমস্যাও দেখা যায়। থাইরয়েড কমানোর জন্য অগোছালো জীবন যাপন বাদ দিয়ে নিয়মিত ব্যায়াম এবং স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য গোছালো জীবন শুরু করা প্রয়োজন। অলস জীবন যাপন বাদ দিয়ে প্রতিদিন নিয়মিত যথেষ্ট পরিমাণে ব্যায়াম করুন।
খাবার খাওয়ার সময় সতর্কতা
থাইরয়েড কমানোর উপায় গুলোর মধ্যে আরেকটি কার্যকরী উপায় হচ্ছে মনোযোগ সহকারে খাবার চিবিয়ে খাওয়া। এতে করে খাবার পরিপাক হতে সহজ হয়। খাবার খাওয়ার সময় ভালো করে সেটি চিবিয়ে খাওয়া উচিত। তাড়াহুড়ো করে খাবার গেলে সেগুলো বিপাকে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। তাই ধীরে সুস্থে আস্তে আস্তে খাবার চিবিয়ে খান। থাইরয়েড কমানোর উপায় গুলো কি কি সেই প্রশ্নের এই উত্তরটি হয়তো অনেকেই জানে না।
থাইরয়েড কমানোর উপায় কি কি
নারিকেলের তেল ব্যবহার
নারিকেলের তেল গরম না করে ঠান্ডা অবস্থায় ব্যবহার করলে সেটি ওজন কমাতে সাহায্য করে। সেই সাথে আমাদের বিপাকীয় প্রক্রিয়া অনেক গুন বৃদ্ধি করে। এছাড়া নারিকেলের একটি উপাদান যেটি ফ্যাটি এসিড নামে পরিচিত সেটি আমাদের থাইরয়েড গ্রন্থির কার্যকারিতা অনেক গুণ বৃদ্ধি করে। তাই নিয়মিত ঠান্ডা নারিকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন।
অ্যাপল সিডার ভিনেগার
আমাদের শরীরের প্রত্যেকটি কার্যকলাপ সম্পন্ন করার জন্য একেকরকম হরমোন রয়েছে। শরীরে এই সকল হরমোনের ভারসাম্য হীনতা দেখা দিলে নানা রকম অসুখের সৃষ্টি হয়। হরমোন উৎপাদনের এই ভারসাম্য রক্ষা করতে অ্যাপল সিডার ভিনেগার অনেক বেশি উপকারী। এটি আমাদের বিপাক ক্রিয়া উন্নত করার পাশাপাশি থেকে বিভিন্ন বিষাক্ত পদার্থ শরীর থেকে দূর করে দেয়।
ভিটামিন ডি
আমরা জানি ভিটামিন ডি এর একটি ভালো উৎস হচ্ছে সূর্যের আলো। থাইরয়েড কমানোর উপায় গুলো কি কি এর আরেকটি উত্তর হচ্ছে ভিটামিন ডি গ্রহণ করা। দিনে অন্তত ১৫ থেকে ২০ মিনিট যদি আপনি রৌদ্রের আলোতে থাকতে পারেন তাহলে শরীরে ভিটামিন ডি এর পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে বৃদ্ধি পাবে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।
সূর্যের আলোর পাশাপাশি কমলালেবুর রস ডিমের কুসুম স্যালমন মাছ ইত্যাদি খাবারেও ভিটামিন ডি এর ভালো উৎস। ভিটামিন ডি এর অভাব খুব বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সাপ্লিমেন্ট নিতে পারেন।
থাইরয়েড রোগের প্রকোপ বাংলাদেশের দিন দিন বেড়েই চলছে। ওজন বৃদ্ধি, ওজন হ্রাস, ঘুম কম হওয়া, গর্ভধারণের সমস্যা ইত্যাদি থাইরয়েড এর অন্যতম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া। তাই থাইরয়েড কমানোর উপায় গুলো কি কি সেটি আপনি নিজে জানুন এবং পরিবারের অন্যদের জানতে সাহায্য করুন।
বাজারের সেরা স্ক্রাব কোনটি জানতে এখানে প্রবেশ করুন।