ডিবি থেকে হারুনকে বদলি

- আপডেট সময় : ০৯:৫০:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ জুলাই ২০২৪ ৫৯ বার পড়া হয়েছে
ঢাকা মহানগর পুলিশ বা ডিএমপি এর অতিরিক্ত কমিশনার মোঃ হারুন অর রশীদকে সম্প্রতি গোয়েন্দা বিভাগ বা ডিবি ইউনিট থেকে বদলি করা হয়েছে। তাকে ডিএমপির (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) ইউনিটের অতিরিক্ত কমিশনার পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
আজ ৩১ শে জুলাই বুধবার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ কমিশনার মোঃ হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এই আদেশটি দেওয়া হয়েছে।
হারন অর রশীদের জায়গায় স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন ডিএমপির আেক অতিরিক্ত কমিশনার মহা. আশরাফুজ্জামান। তিনি এর আগে ডিএমপির লজিস্টিক ফিন্যান্স এন্ড প্রকিউরমেন্টের কমিশনার হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। ওই আদেশের মাধ্যমে খন্দকার মহিউদ্দিন অতিরিক্ত কমিশনার হিসেবে লজিস্টিক ফিন্যান্স এন্ড প্রকিউরমেন্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছেন।
ডিবি থেকে হারুনকে বদলি
আমরা জানি ঢাকা মহানগর পুলিশ এর গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার হিসেবে বিগত বেশ কিছু বছর যাবত দায়িত্ব পালন করে আসছেন হারুন অর রশীদ। সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে তিনি বেশ আলোচনায় ছিলেন। কোটা সংস্কার আন্দোলনের ৬ সমন্বয় কে তিনি ডিবি হেফাজতে নিয়ে আসেন। তারপর তারা কোটা আন্দোলন প্রত্যাহার কর্মসূচি ঘোষণা করে উক্ত সমন্বয়করা। ওই একই টেবিলে তাদেরকে নিয়ে ডিবি কার্যালয়ে একসঙ্গে খাওয়ার বেশ কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ ভাইরাল হয়।
সেই ছবিগুলো নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে বেশ আলোচনা সমালোচনা হয় এবং হাইকোর্টের পক্ষ থেকেও এ প্রসঙ্গে আলোচনা করা হয়। এছাড়াও হারুন অর রশীদ কে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে যা নিয়ে বেশ বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
ডিবি থেকে হারুনকে বদলি
ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা ইউনিট বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। এই অংশের পরিচালনা হিসেবে তিনি বেশ কয়েক বছর অত্যন্ত দক্ষতার সহিত দায়িত্ব পালন করেছেন। কোটা সংস্কার আন্দোলনে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্যেই তাকে ওই ইউনিট থেকে বদলি করে ডিএমপির ক্রাইম এন্ড অপারেশন ইউনিটের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের দাবি অনুযায়ী সরকারি মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ অন্যান্য কোটা গুলো কমিয়ে আনার দাবি জানিয়েছিলেন। ইতিমধ্য মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০% থেকে কমিয়ে ৫% করা হয়েছে। সরকারি চাকরির প্রথম এবং দ্বিতীয় শ্রেণীর পদ গুলোতে মেধায় নিয়োগ দেয়া হবে মোট ৯৭% এবং কোটায় নিয়োগ দেয়া হবে মোট ৭%। নতুন এই কোটা পদ্ধতির বিষয়ে ইতিমধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপন জারের পরেও কোটা সংস্কার আন্দোলন এখনো স্থিতিশীল পর্যায়ে আসেনি। বিগত কয়েকদিন ধরে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে এ নিয়ে বেশ আন্দোলন এবং সমাবেশ হচ্ছে।
চুল লম্বা করব কিভাবে বিস্তারিত জানতে এখানে প্রবেশ করুন।