টেলিটক সিমের সংস্কারের ১০ টি প্রস্তাব

- আপডেট সময় : ১০:৫৯:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৪ ৫৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ব টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান টেলিটক বাংলাদেশ সিমের সেবার মান উন্নয়নে ১০ টি প্রস্তাব- উপস্থান করেছেন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
২৯ শে আগস্ট বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক ঘোষণার মাধ্যমে এই তথ্য গুলো জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদের সই করা ওই বিবৃতিতে টেলিটক সিমের মান উন্নয়নে বলা হয়েছে:
টেলিটকের যাত্রা শুরু হয় ২০০৬ সালের মার্চ মাসে। কিন্তু এত সত্বেও সেটা জনগণের প্রতি আশার প্রতিফলন ঘটাতে পারেনি। বাংলাদেশের প্রায় সকল নাগরিকের মনে টেলিটকের জন্য জায়গা থাকলেও সেটি আশা অনুযায়ী ব্যবহার হচ্ছে না।
কারণ টেলিটকের পর্যাপ্ত পরিমাণে রিটেইলার নেই, সার্ভিস সেন্টার কম এবং রিটেইলারদের এর কাছে প্যাকেজ এবং ডাটার সম্পর্কিত বিস্তারিত ইনফরমেশন নেই। এছাড়াও এই সিমের জন্য বাজারে রিচার্জ খুবই অপ্রতুল। সেই সাথে নেই মানসম্মত নেটওয়ার্ক।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী তুলনামূলক অন্যান্য অপারেটরদের চাইতে কম কলরেট এবং ডাটারেট থাকার পরেও গ্রাহক সংখ্যা ৬৫ লাখ। যা অন্যান্য বেসরকারি সিম অপারেটরদের তুলনায় অনেক কম।
তিনি টেলিটকের ব্যাপারে আরো কিছু কথা বলেন এবং ১০ টি প্রস্তাবনা উল্লেখ করেন। যার সারমর্ম গুলো হল:
১. টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের সাথে সংশ্লিষ্ট কারিগরি এবং ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে বোর্ডের সংস্কার করে কোম্পানি পরিচালনায় গতি বেড়াতে হবে।
২. টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের সংস্কার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে তিনি এটির নাম বাংলাদেশ টেলিটক করার প্রস্তাবনা দিয়েছেন। এর মাধ্যমে টেলিটকের কর্মচারীরা উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণা পাবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
৩. টেলিটকের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের জন্য প্রকল্প গ্রহণের কথাও তিনি উল্লেখ করেন। অন্যান্য অপারেটরদের মতো দেশের সব জায়গায় নেটওয়ার্ক নিশ্চিত করার ব্যাপারে তিনি বলেন।
টেলিটক সিমের সংস্কারের ১০ টি প্রস্তাব
৪. গ্রাহকদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে কম খরচে কলরেট এবং ডাটা প্যাকেজ অফার চালু করার কথা উল্লেখ করেন। বাংলাদেশ টেলিটকের ডাটা এবং ভয়েস কলের কোনো মেয়াদ থাকবে না বলেও তিনি দাবি উপস্থাপন করে।
৫. টেলিটক এর সাইট গুলোর একটি বড় অংশের ব্যাটারি ব্যাকআপ না থাকায় বিদ্যুৎ চলে গেলে টাওয়ার স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যায়। এই সমস্যা সমাধানের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করার বিষয়ে তিনি বলেন।
৬. প্রশাসনিক কাঠামো সংস্কার করে কোম্পানির পলিসিও সংস্কার করার দাবি উপস্থাপন করেন।
৭. গ্রাহকরা যাতে দেশের যেকোনো জায়গা থেকে টেলিটক সিমের রিচার্জ করতে পারে এবং সিম ক্রয় করতে পারে সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
৮. বিগত সরকারের আমলে টেলিটক বিক্রির যে আলোচনা হয়েছিল সেটির ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
৯. টেলিটক সিমের প্রকল্পের দুর্নীতি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
১০. বিটিসিএল এর কর্মকর্তাদের টেলিটকে যুক্ত বা নিয়োগ না করে আলাদাভাবে জনবল নিয়োগ করা।
১২ ভোল্ট ব্যাটারির দাম কত জানতে এখানে প্রবেশ করুন।