টক ফল খাওয়ার উপকারিতা

- আপডেট সময় : ০৪:০১:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৪ ৫৮ বার পড়া হয়েছে
আমরা অনেকেই টক জাতীয় খাবার অনেক পছন্দ করি। কিন্তু আপনি জানেন কি এ সকল টক ফল খাওয়ার উপকারিতা কিংবা কি কি প্রভাব রয়েছে? বিভিন্ন ধরনের মৌসুমীর টক ফল শুধুমাত্র সুস্বাদু এবং মজারই নয় বরং শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী। এ সকল টক ফলের মধ্যে রয়েছে লেবু, কমলা, জাম্বুরা ইত্যাদি। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ক্যান্সারের ঝুকি ঘুমায় এ ধরনের টক ফল।
টক ফল খাওয়ার উপকারিতা
ভিটামিন এবং যৌগ সমৃদ্ধ
ভিটামিন সি এর অন্যতম উৎস হচ্ছে টক ফল। এ ধরনের ফল গুলি আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং ত্বককে আরো বেশি নমনীয় এবং মুসৃন করে। প্রতিদিন একটি মাঝারি সাইজের কমলায় আপনার শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি এর চাহিদা পূরণ করতে পারেন।
ভিটামিন সি ছাড়াও টক ফল গুলি খনিজ লবণের ভালো একটি উৎস। আমাদের শরীরের বিভিন্ন কাজ সম্পাদন করার জন্য এটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
ফাইবারের ভালো উৎসব
বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের সবচাইতে যে জটিল সমস্যাটি হয় সেটি হচ্ছে হজম প্রক্রিয়ার সমস্যা হওয়া। টক ফল খাওয়ার উপকারিতা গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে হজমে সাহায্য করা। আপনি নিয়মিত টক ফল খেলে আপনার হজম ভালো হবে এবং ওজন কমে যাবে। কমলা লেবুতে দ্রবণীয় ফাইবার সবচাইতে বেশি থাকে।
আমাদের দেহে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে স্বাস্থ্যকে আরো বিশেষ সুগঠিত করে। অন্যান্য শাকসবজির তুলনায় টক ফলে ফাইবারে অনুপাত সবচাইতে বেশি থাকে।
কম ক্যালরি সম্পন্ন ফল
আমরা যারা অতিরিক্ত ওজন সমস্যায় ভুগছি তাদের জন্য টক ফল হতে পারে সমাধান। কারণ এই ধরনের ফল গুলোতে ক্যালরি কম থাকে যা আমাদের ওজন বৃদ্ধি রোধ করতে সহায়তা করে। আবার এতে পর্যাপ্ত পানি এবং ফাইবার থাকার কারণে প্রয়োজনীয় পোস্টে চাহিদা পূরণ হয়ে যায়।
কিডনি পাথরের ঝুকি কমায়
প্রস্রাবের সাথে পাথর কিংবা সাইট্রেটের মাত্রা কমাতে টক জাতীয় খাবার কার্যকরী। এ ধরনের খাবার গুলি আপনার প্রস্রাবের সাইট্রেটের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে যা কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি একদম কমিয়ে ফেলে।
টক ফল খাওয়ার উপকারিতা
ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে
টক ফল খাওয়ার অন্যতম উপকারিতা হচ্ছে এটি ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাসের সাথে সম্পর্কিত। পাকস্থলী, স্তন, খাদ্যনালী এমনকি অগ্নাশয় ক্যান্সারের সাথে লড়াই করতে টক ফল কাজ করতে পারে।
মূলত ক্যান্সারের কোষ গুলোর কার্সেনোজকে নিষ্ক্রিয় করে এর সাথে লড়াই করে বিভিন্ন রকমের তথ্য। টক জাতীয় ফল।
হার্টের স্বাস্থ্য
বয়স বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে আমাদের আরেকটু সমস্যা দেখা দেয় আর সেটি হচ্ছে হার্টের সমস্যা। আবার অনেকে আমরা অল্প বয়সে স্ট্রোক করে থাকি যেটির প্রবণতা দিন দিন আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। যারা কিনা বেশি বেশি পরিমাণে টক ফল খেয়েছেন তাদের এই হার্টের সমস্যা এবং স্ট্রোক করার পরিমাণ খুবই কম।
যেহেতু টক খেলে ওজন কমে যায় তাই আপনি যদি ইতিমধ্য পাতলা গঠনের হয়ে অতিরিক্ত পরিমাণে টক খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এছাড়া অনেকের টক জাতীয় খাবারের এলার্জি রয়েছে তাদের তো সম্পূর্ণরূপে বিরত থাকা উচিত।
টক ফল খাওয়ার উপকারিতা অনেক রয়েছে। নানা বেশ স্বাস্থ্য উপকারিতা ছাড়াও এটি আমাদের তারুণ্য ধরে রাখতেও সাহায্য করে। তাই নিয়মিত মৌসুমীর টক ফল খেতে পারেন কিন্তু সেটি কোনভাবেই অতিরিক্ত হওয়া যাবে না।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে প্রেগনেন্সি টেস্ট করার উপায় জানতে এখানে প্রবেশ করুন।