ঘরোয়া পদ্ধতিতে প্রেগনেন্সি টেস্ট

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৩২:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৪ ৫৩ বার পড়া হয়েছে

ঘরোয়া পদ্ধতিতে প্রেগনেন্সি টেস্ট

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

এই দুনিয়াতে মা হওয়ার সংবাদের চাইতে খুশির সংবাদ আর কিছু নেই। তাই এই খুশির সংবাদ জানার জন্য আপনি ঘরোয়া পদ্ধতিতে প্রেগনেন্সি টেস্ট করতে পারেন। সাধারণত আমরা বাজারে যে সকল প্রেগনেন্সি টেস্ট করার জন্য কিট পাওয়া যায় সেগুলোর মাধ্যমে নিশ্চিত হই। কিন্তু ঘরোয়া পদ্ধতি অনুসরণ করেও আপনি এই ফলাফল যাচাই করতে পারেন।

প্রেগনেন্সি টেস্ট করার জন্য বাজারে যে সকল কাঠি পাওয়া যায় সেগুলো দিয়ে কয়েক মুহূর্তেই জেনে নেওয়া যায় কোন নারী গর্ভবতী হয়েছেন কিনা। আমাদের আশেপাশের সকল ফার্মেসিতেই এই কাঠি পাওয়া যায়।

তবে যখন প্রেগনেন্সি কিট আবিষ্কার হয়নি তখন কিভাবে মানুষ গর্ভবতী কিনা টেস্ট করতো?

এ ব্যাপারে ইতিহাস বলছে আজ থেকে প্রায় ৬ হাজার বছর আগে নারীদের মূত্র পরীক্ষার মাধ্যমে তিনি গর্ভবতী কিনা সনাক্ত করা হতো। এছাড়া ও নারীদের পিরিয়ডের সময় হিসাব করেও যাচাই করা হতো তিনি গর্ভবতী কিনা।

ঘরোয়া পদ্ধতিতে প্রেগনেন্সি টেস্ট করার নিয়ম

আগেকার দিনে নারীদের সুরাহ বা অ্যালকোহল এবং খেজুর খাওয়ানো হতো। এই সকল জিনিস খেয়ে সে যদি বমি করতো তাহলে ধারণা করা হতো তিনি গর্ভবতী হয়েছেন। আজ থেকে কয়েক হাজার বছর পূর্বে ঘরোয়া উপায়ে প্রেগনেন্সি টেস্ট করা এটাই অন্যতম নিয়ম ছিল।

আবার সে সময়তে গর্ভবতী নারীর মূত্র একটি গম বার্লির এর উপরে রাখা হতো। এতে করে যদি সেই গমে দ্রুত বীজ অঙ্কুরিত হতো তাহলে মনে করা হতো সেই নারী মা হতে চলেছেন।

ব্লিচ দিয়ে পরীক্ষা

যে নারীর প্রেগনেন্সি টেস্ট করাবেন তার মূত্রের সঙ্গে কিছুটা ব্লিচ মিশিয়ে রাখুন। যদি এতে ফেনা উঠতে শুরু করে তাহলে বুঝতে পারবেন আপনি মা হতে চলেছেন।

টুথপেস্ট দিয়ে পরীক্ষা

একটি প্লাস্টিকের বাটিতে মূত্রের সাথে কিছুটা টুথপেস্ট মিশিয়ে দিন। যদি টুথপেস্টের রং নীল হয়ে যায় তাহলে সেই নারী গর্ভবতী। ঘরোয়া উপায়ে প্রেগনেন্সি টেস্ট করার এটি অনেক সহজ এবং জনপ্রিয় উপায়।

ঘরোয়া পদ্ধতিতে প্রেগনেন্সি টেস্ট

ভিনেগার দিয়ে পরীক্ষা

একটি প্লাস্টিকের কাপে কিছুটা ভিনেগার এবং মুত্র মিশান। যদি বুদবুদ তৈরি হয় এবং মিশ্রনের রংয়ের কিছুটা পরিবর্তন আসে তাহলে বুঝতে পারবেন সে নারী গর্ভবতী।

চিনির পরীক্ষা

ঘরোয়া উপায়ে বা ঘরোয়া পদ্ধতিতে প্রেগনেন্সি টেস্ট করা এটি অন্যতম উপায়। এই পদ্ধতিতে এক বাটি মূত্র বা পেশাবের সাথে ২ থেকে ৩ চামচ চিনি মিশিয়ে নিন। যদি চিনির দানা পেশাবের সাথে না মিশে গিয়ে দলা পাকাতে শুরু করে তাহলে বুঝবেন আপনি মা হতে চলেছেন।

ঘরোয়া পদ্ধতিতে প্রেগনেন্সি টেস্ট করা বা প্রেগনেন্সি টেস্ট করার ঘরোয়া উপায় গুলি সম্পর্কে আপনারা আশা করি বুঝতে পেরেছেন। তবে এই সকল পদ্ধতি দিয়ে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা সম্ভব যে আপনি গর্ভবতী কিনা। সঠিকভাবে বুঝতে এবং নিশ্চিত হতে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ঘরোয়া পদ্ধতিতে প্রেগনেন্সি টেস্ট

আপডেট সময় : ১১:৩২:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৪

এই দুনিয়াতে মা হওয়ার সংবাদের চাইতে খুশির সংবাদ আর কিছু নেই। তাই এই খুশির সংবাদ জানার জন্য আপনি ঘরোয়া পদ্ধতিতে প্রেগনেন্সি টেস্ট করতে পারেন। সাধারণত আমরা বাজারে যে সকল প্রেগনেন্সি টেস্ট করার জন্য কিট পাওয়া যায় সেগুলোর মাধ্যমে নিশ্চিত হই। কিন্তু ঘরোয়া পদ্ধতি অনুসরণ করেও আপনি এই ফলাফল যাচাই করতে পারেন।

প্রেগনেন্সি টেস্ট করার জন্য বাজারে যে সকল কাঠি পাওয়া যায় সেগুলো দিয়ে কয়েক মুহূর্তেই জেনে নেওয়া যায় কোন নারী গর্ভবতী হয়েছেন কিনা। আমাদের আশেপাশের সকল ফার্মেসিতেই এই কাঠি পাওয়া যায়।

তবে যখন প্রেগনেন্সি কিট আবিষ্কার হয়নি তখন কিভাবে মানুষ গর্ভবতী কিনা টেস্ট করতো?

এ ব্যাপারে ইতিহাস বলছে আজ থেকে প্রায় ৬ হাজার বছর আগে নারীদের মূত্র পরীক্ষার মাধ্যমে তিনি গর্ভবতী কিনা সনাক্ত করা হতো। এছাড়া ও নারীদের পিরিয়ডের সময় হিসাব করেও যাচাই করা হতো তিনি গর্ভবতী কিনা।

ঘরোয়া পদ্ধতিতে প্রেগনেন্সি টেস্ট করার নিয়ম

আগেকার দিনে নারীদের সুরাহ বা অ্যালকোহল এবং খেজুর খাওয়ানো হতো। এই সকল জিনিস খেয়ে সে যদি বমি করতো তাহলে ধারণা করা হতো তিনি গর্ভবতী হয়েছেন। আজ থেকে কয়েক হাজার বছর পূর্বে ঘরোয়া উপায়ে প্রেগনেন্সি টেস্ট করা এটাই অন্যতম নিয়ম ছিল।

আবার সে সময়তে গর্ভবতী নারীর মূত্র একটি গম বার্লির এর উপরে রাখা হতো। এতে করে যদি সেই গমে দ্রুত বীজ অঙ্কুরিত হতো তাহলে মনে করা হতো সেই নারী মা হতে চলেছেন।

ব্লিচ দিয়ে পরীক্ষা

যে নারীর প্রেগনেন্সি টেস্ট করাবেন তার মূত্রের সঙ্গে কিছুটা ব্লিচ মিশিয়ে রাখুন। যদি এতে ফেনা উঠতে শুরু করে তাহলে বুঝতে পারবেন আপনি মা হতে চলেছেন।

টুথপেস্ট দিয়ে পরীক্ষা

একটি প্লাস্টিকের বাটিতে মূত্রের সাথে কিছুটা টুথপেস্ট মিশিয়ে দিন। যদি টুথপেস্টের রং নীল হয়ে যায় তাহলে সেই নারী গর্ভবতী। ঘরোয়া উপায়ে প্রেগনেন্সি টেস্ট করার এটি অনেক সহজ এবং জনপ্রিয় উপায়।

ঘরোয়া পদ্ধতিতে প্রেগনেন্সি টেস্ট

ভিনেগার দিয়ে পরীক্ষা

একটি প্লাস্টিকের কাপে কিছুটা ভিনেগার এবং মুত্র মিশান। যদি বুদবুদ তৈরি হয় এবং মিশ্রনের রংয়ের কিছুটা পরিবর্তন আসে তাহলে বুঝতে পারবেন সে নারী গর্ভবতী।

চিনির পরীক্ষা

ঘরোয়া উপায়ে বা ঘরোয়া পদ্ধতিতে প্রেগনেন্সি টেস্ট করা এটি অন্যতম উপায়। এই পদ্ধতিতে এক বাটি মূত্র বা পেশাবের সাথে ২ থেকে ৩ চামচ চিনি মিশিয়ে নিন। যদি চিনির দানা পেশাবের সাথে না মিশে গিয়ে দলা পাকাতে শুরু করে তাহলে বুঝবেন আপনি মা হতে চলেছেন।

ঘরোয়া পদ্ধতিতে প্রেগনেন্সি টেস্ট করা বা প্রেগনেন্সি টেস্ট করার ঘরোয়া উপায় গুলি সম্পর্কে আপনারা আশা করি বুঝতে পেরেছেন। তবে এই সকল পদ্ধতি দিয়ে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা সম্ভব যে আপনি গর্ভবতী কিনা। সঠিকভাবে বুঝতে এবং নিশ্চিত হতে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।