কম দামে সেরা ইলেকট্রিক গাড়ি কিনুন
- আপডেট সময় : ০৮:৫৩:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪ ২০ বার পড়া হয়েছে
অনেকে কম দামে সেরা ইলেকট্রিক গাড়ি খোঁজেন। বর্তমান যুগে চারিদিকে ইভি এর জয়জয়কার। কারণ এতে রয়েছে বাড়তি কিছু সুবিধা। সাধারণ পেট্রল এবং ডিজেল চালিত গাড়ি গুলোর তেল কিংবা জ্বালানি খরচ অনেক বেশি। এমনকি এই সকল কার গুলোর সার্ভিসিং কিংবা রক্ষণাবেক্ষণ করতেও বেশ অর্থ প্রয়োজন হয়। আবার একই সাথে পরিবেশের জন্য অনেকটাই ক্ষতিকর।
তাইতো বর্তমান যুগের বিদ্যুৎ চালিত গাড়ি গুলোর প্রশংসায় সবাই পঞ্চমুখ। এতে জ্বালানি খরচ নেই, সামান্য কিছু অভিজ্ঞতা থাকলে নিজেই সকল রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করা যায়, সম্পূর্ণরূপে পরিবেশবান্ধব, বাসা বাড়ির বিদ্যুতের মাধ্যমে গাড়ি চার্জ করা যায় ইত্যাদি সুবিধা রয়েছে। আজকে আমি আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি এরকম একটি গাড়ির খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে।
কম দামে সেরা ইলেকট্রিক গাড়ি
সম্প্রতি বাজারে ছোট আকারের একটি ইভি এনেছে মরিস গ্যারেজ বা এমজি। যার মডেলটির নাম হচ্ছে Mg Windsor Ev। এখানে ইভি এর পূর্ণরূপ হচ্ছে ইলেকট্রিক ভেহিকল।
বর্তমানে ভারতের বাজারে এই গাড়িটির দাম মাত্র ১৩ লাখ ৫০ হাজার রুপি। তবে হতাশ হওয়ার কিছু নেই বাংলাদেশ বাজারেও এটি পর্যাপ্ত পরিমাণে বিক্রির ব্যবস্থা রয়েছে। অর্থাৎ আপনি চাইলে আমাদের দেশ থেকেও এটি কিনতে পারবেন। তবে দামের কিছুটা তারতম্য হতে পারে।
এই গাড়িটির অন্যতম সুবিধা হচ্ছে ব্যাটারি সার্ভিসের মাধ্যামে ব্যাটারি আপনি ভাড়া নিতে পারবেন। সে হিসেবে মূল Mg Windsor E গাড়িটির দাম পড়বে মাত্র ১০ লাখ টাকা এবং ব্যাটারি ভাড়া নিতে চাইলে দাম পড়বে আরো সাড়ে তিন লাখ টাকা। বাজারে একদমই নতুন এই গাড়িটির বর্তমানে প্রি বুকিং চলছে। বিভিন্ন সূত্রে জানা গিয়েছে ভারতে মাত্র ২৪ ঘন্টায় এই গাড়িটির বুকিং হয়েছে ১৫ হাজার। সর্বমোট ৩ টি ভ্যারিয়েন্টে বাজারে আসছে।
কি কি সুবিধা থাকছে এই গাড়িতে
Mg Windsor Ev তে অত্যাধুনিক কিছু ফিচার থাকছে যার মধ্যে রয়েছে ১৫.৬ ইঞ্চি স্ক্রিন সিস্টেম। এছাড়াও থাকছে মাল্টি ফাংশন স্টিয়ারিং হুইল এবং বরাবরের মতোই ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট কনসোল। প্রাথমিক অবস্থায় ৪ টি রঙে এটি বাজারে ছাড়া হয়েছে।
নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের দাবি একবারফুল চার্জে এমজি উইন্ডসর গাড়িটি প্রায় ৩৩২ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে পারবে। এতে ১৩৬ বিএইচপি শক্তি সম্পন্ন একটি মোটর ব্যবহার করা হয়েছে যেটির ২০০ এনএম টর্ক পর্যন্ত উৎপাদন করতে পারে।
এক চার্জে ৩৩২ কিলোমিটার অতিক্রম করা বেশ বড়সড় ব্যাপার। অর্থাৎ আপনি ঢাকার মধ্যেও সারাদিন মোটামুটি রাইড করতে পারবেন। এছাড়াও ঢাকার বাইরে বেশ দূরত্বে যাতায়াত করা যাবে এটি দ্বারা।
ইলেকট্রিক গাড়ির সুবিধা এবং অসুবিধা
পেট্রোল কিংবা ডিজেল চালিত গাড়ি গুলোর মত এটিরও বেশ কিছু সুবিধা অসুবিধা রয়েছে। চলুন সে ব্যাপারে বিস্তারিত ধারণা নেয়া যায়। প্রথমে সুবিধা গুলি তুলে ধরছি।
পরিবেশ রক্ষায়
বৈদ্যুতিক গাড়িতে কোন ধরনের জ্বালানি শক্তি ব্যবহার করা হয় না। তাই গাড়ি থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ হয় না এবং পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
খরচ অনেক কম
আধুনিক ইলেকট্রিক গাড়ি গুলোতে যে শক্তিশালী ব্যাটারি গুলো ব্যবহার করা হয় সেগুলো আকারে খুব ছোট এবং অনেক বেশি বিদ্যুৎ ধারণ করে রাখতে পারে। এগুলো সর্বনিম্ন ২০০ থেকে ৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত পথ অতিক্রম করতে পারে একবার চার্জের মাধ্যমে। সে হিসেবে প্রতি কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে খরচ হয় মাত্র ২ থেকে ৪ টাকা। এমন কি আপনি যদি নিয়মিত কাছের দূরত্বে অফিসে কিংবা অন্য কোথাও যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করেন তাহলে এর চার্জে প্রায় ৬ দিন ধরে চালাতে পারবেন। তাই যাতায়াত খরচ অনেক কম।
সার্ভিসিং খরচ কম
জ্বালানি ব্যবহার করা হয় না বলে এতে সার্ভিসিং খরচ অনেক কম হয়। এমনিতেও বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান গুলো বিক্রির পর গাড়ি ৩ থেকে ৮ বছরের সার্ভিস প্রদান করে থাকে। নিশ্চিন্তে অনেকদিন পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়।
শব্দ দূষণও কম হয়
কারেন্টের মাধ্যমে এর মোটর চলে তাই অতিরিক্ত শব্দ উৎপন্ন হয় না। এমনকি রাস্তাঘাটে চলার সময় আশেপাশের মানুষজন বুঝতেই পারবে না যে একটি গাড়ি যাচ্ছে। তাই গাড়ির উপস্থিতি বোঝানোর জন্য অনেকেই আলাদা সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করে।
বারবার ব্যাটারির ব্যবহারের সুবিধা
কম দামের সেরা ইলেকট্রিক গাড়ি কেনার বিষয় গুলি সম্পর্কে তো জানবেন। এটির অনেক সাশ্রয়ী সুবিধা রয়েছে। এই গাড়ি গুলোতে ব্যবহার করা ব্যাটারি পুনর্ব্যবহার করা যায়। এমনকি একটি ব্যাটারি পুরানো হয়ে গেলে সেটার ভেতরকার উপাদান গুলি পরিবর্তন করে আবার নতুনের মত ব্যবহার করা যায়।
এবার চলুন এর কিছু সমস্যা কিংবা অসুবিধা গুলি সম্পর্কে জেনে নেই।
চার্জিং স্টেশন
এটি জ্বালানি চালিত গাড়ি আপনি যে কোথাও হতে তেল ভরতে পারবেন। বাংলাদেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে ইলেকট্রিক গাড়ির চার্জার ব্যবস্থা নেই। তাই দূরে কোথাও যাওয়ার পর যার শেষ হয়ে গেলে বিপদে পড়তে পারেন।
চার্জ হতে সময় প্রয়োজন
এমনি এমনিতে সাধারণ তেল চালিত গাড়িতে তেল ভরতে সর্বোচ্চ ৪ থেকে ৫ মিনিট সময় লাগতে পারে। সেখানে একটি বিদ্যুৎ চালিত গাড়ির ফুল চার্জ হতে সময় লাগবে কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ ঘন্টা। তাই নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকলে আরো বেশি সমস্যায় পড়তে পারেন।
আমাদের শেষ কথা
সকল ধরনের জিনিসেরই সুবিধার পাশাপাশি কিছু অসুবিধা থাকে। কিন্তু কম দামের সেরা ইলেকট্রিক গাড়ি Mg Windsor Ev অথবা অন্যান্য গুলোর সুবিধাই সবচাইতে বেশি। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যখন অনেক বেশি চার্জিং স্টেশন হয়ে যাবে এবং বিভিন্ন রকম সার্ভিস সেন্টার তৈরি হবে তখন এটি ব্যবহার করতে খুব বেশি সমস্যা পোহাতে হবে না।
সমুদ্র বা মরুভূমির বালি ব্যবহার করে কি জন্য বাড়ি নির্মাণ করা হয় না? বিস্তারিত জানতে এখানে প্রবেশ করুন।