আর কিছুদিন পরেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কমলা হ্যারিসকে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শুক্রবারে ডেমোক্রেটিক দলটির প্রতিনিধিরা ভোট দিয়ে এই মনোনয়ন দেয় বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে নিশ্চিত করা হয়েছে। এর আগে জেইম হ্যারিসন অনলাইন প্লাটফর্মের একটি অনুষ্ঠানে ভোটাভুটির ঘোষণা দেন। ডেমোক্রেটিক দলের পক্ষ থেকে কে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হবে তা নির্ধারণ করার লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার থেকে ইমেইলে ভোট গ্রহণ শুরু করে ডেমোক্রেটিক পার্টি।

তবে সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিরা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য পদ প্রার্থীকে আগামী সোমবার পর্যন্ত ভোট প্রদান করতে পারবেন। কিন্তু সেই সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করার আগে কমলা হ্যারিস প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট পেয়ে গিয়েছেন। ইতিমধ্য তিনি ২৩৫০ জনপ্রতিনিধি সমর্থন লাভ করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের আগামীর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কমলা হ্যারিসের এই মনোনয়নের স্বপক্ষে তিনি বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হওয়ার জন্য আমি সম্মানিত বোধ করছি। আমরা আমেরিকার প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাস করি। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী সপ্তাহে আমি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হওয়ার মনোনয়ন গ্রহণ করব।

সবচাইতে বড় চমক হলো কমলা হ্যারিস প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ এবং দক্ষিণ এশীয় নারী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের একটি রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পাচ্ছেন। কমলা হ্যারিসের বর্তমান বয়স ৫৯। সবকিছু ঠিক রেখে যদি আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কমলা হ্যারিস জয়লাভ করতে পারেন, তাহলে তিনি আমেরিকার ইতিহাসে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হবেন। অবশ্যই এই জয়ের জন্য তাকে ডোনাল্ড ট্রাম্প কে পরাজিত করতে হবে।

আনুষ্ঠানিকভাবে কমলা হ্যারিস এখন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী

এদিকে কমলা হ্যারিসের আগে জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচন করবেন কিনা সে ব্যাপারে চলছিল নানা জল্পনা কল্পনা। এমনকি জুলাই মাসের ২১ তারিখ পর্যন্ত আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেন বলে আসছিলেন সামনের নির্বাচনে তিনি অবশ্যই অংশগ্রহণ করবেন। তবে তার কিছুদিন পরেই হঠাৎ করেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে সরে আসার ব্যাপারে তিনি ঘোষণা দেন।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিপক্ষে পরবর্তী নির্বাচন থেকে সরে আসার ঘোষণা দেওয়ার পর জো বাইডেন অফিসিয়ালি কমলা হ্যারিসকে সমর্থন জানান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই পোস্টে জো বাইডেন আমেরিকার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে সমর্থন জানিয়ে তার প্রতি সবাইকে ভোট প্রদান করা আহবান জানান।

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু তার পরবর্তী নির্বাচনে বাইডেনের কাছে তিনি পরাজিত হন। যুক্তরাষ্ট্রবাসী আশা করছিল এবারও বাইডেন এবং ট্রাম্পের মধ্যে বেশ ভালো লড়াই হবে। শুরুর দিকে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে হঠাৎ করে বাইডেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী হতে সরে আসেন। তার স্থলে সমর্থন জানান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে।

রাগ কমানোর উপায় জানতে এখানে প্রবেশ করুন