কমপ্লিট শাটডাউন কি এবং কি কি এর আওতা মুক্ত

- আপডেট সময় : ১১:১৯:০১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই ২০২৪ ৫৬ বার পড়া হয়েছে
শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হামলার প্রতিবাদে আজ ১৮ জুলাই বৃহস্পতিবার সারা দেশে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আন্দোলনকৃত ছাত্রছাত্রীরা।
গত ১৭ জুলাই বুধবার রাত ৮ টার দিকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা তাদের ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে এ ঘোষণা দেয়।
সেই বিবৃতিতে তারা আরো বলেন শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ কোটসংস্কার আন্দোলনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল ১৮ জুলাই সারা বাংলাদেশের কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা করছে।
ঘোষণাকৃত কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি কিভাবে পালন করা হবে সে ব্যাপারে বিস্তারিত বলে দেওয়া হয়েছে।
এতে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে
১. হাসপাতাল এবং জরুরী সার্ভিস ছাড়া কোন ধরনের প্রতিষ্ঠানের দরজা খুলবে না। অর্থাৎ সকল ধরনের প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
২. শুধুমাত্র অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া রাস্তায় কোন গাড়ি চলাচল করতে পারবে না।
কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে তারা সারা বাংলাদেশের স্কুল, কলেজ, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয় এবং মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের উক্ত কর্মসূচিতে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। সেই সাথে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে আমরা আপনাদের সন্তান আমাদের পাশে দাঁড়ান। এই লড়াইটা শুধুমাত্র আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য নয় এটি জনসাধারণের জন্য।
কমপ্লিট শাটডাউন কি এবং কি কি এর আওতা মুক্ত
উল্লেখ্য কোটা সংস্কার চেয়ে বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা রাজপথে আন্দোলনে হয়েছে। তাদের দাবি সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা সহ নানা ধরনের কোটা সংস্কার করতে হবে। বর্তমানে সরকারি চাকরিতে মোট ৫৬ পার্সেন্ট কোটা প্রথা চালু রয়েছে।
এদিকে আজ ১৮ জুলাই সারা দেশে কমপ্লিট শাটডাউনকে ঘিরে দেশের বিভিন্ন মেইন মেইন সড়ক বন্ধ রয়েছে। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের ভোগড়া বাইপাস এলাকায় কোটা সংস্কারের আন্দোলনের সমর্থনকারী শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিলে উত্তরবঙ্গের সাথে পুরো যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। এতে করে ভোগান্তিতে পড়ছে সাধারণ যাত্রী। দীর্ঘ রাস্তা জুড়ে তৈরি হয়েছে যানজট।
কমপ্লিট শাটডাউনে ঢাকা শহরে গণপরিবহন একদম কম থাকায় পায়ে হেঁটে হেঁটে যাচ্ছেন সাধারণ যাত্রীরা। আজ সকাল ১০ টার দিকে ঢাকার মোহাম্মদপুর, শাহবাগ এবং ধানমন্ডি এলাকায় এসব কার্যক্রম দেখা যায়। অনেকেই আবার দাঁড়িয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন কিন্তু নেই কোন বাস। মাঝে মাঝে দুই একটি বাস পাওয়া গেলেও তাতে তিল ধারনের কোন জায়গা নেই। সাধারণ জনগণের মধ্যে নারীরা সবচাইতে বেশি ভোগান্তিতে পড়ছে।
এদিকে যাত্রাবাড়ী ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক এ অবস্থান নিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। যার কারণে কোন অবস্থাতে সেখানকার যানবাহন ঢাকা থেকে বের হতে পারছে না এমনকি কোন যানবাহন ঢাকার ভিতরে প্রবেশ করতে পারছে না। রিক্সা কিংবা মোটরসাইকেলও দিতে দেয়া হচ্ছে না। এতে করে অফিস গামে চাকরিজীবীরা চরম ভোগান্তিতে ভুগছেন।
কমপ্লিট শাটডাউনের কার্যক্রম সফল করার লক্ষ্যে ঢাকা সহ বাইরের বিভাগ গুলোতেও সড়ক পথ অবরোধ রয়েছে।