ওযু ভঙ্গের কারণ গুলো কি কি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:২৮:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪ ৪৭ বার পড়া হয়েছে

ওযু ভঙ্গের কারণ গুলো কি কি

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নামাজ হচ্ছে বেহেস্তের চাবি। আর নামাজ কবুল হওয়ার পূর্ব শর্ত হচ্ছে সঠিক নিয়মে। তাইতো ওযু ভঙ্গের কারণ গুলো আমাদের জানা থাকা উচিত এবং এ ব্যাপারে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। কারণ ওযু সঠিক না হলে নামাজ হবে না। তাই ওজু যদি কোন কারণে ভেঙে যায় তাহলে নতুন করে অজু করে নেয়া উত্তম। সেই সাথে ওজুর সওয়াব এবং ফজিলত অনেক বেশি।

আমাদের আজকের আলোচনায় চলুন জেনে নেই অজু ভঙ্গের কারণ গুলো কি কি। নিম্নে আমি ধারাবাহিকভাবে সেগুলো আলোচনা করছি।

ইসলামে মৌলিকভাবে ওযু ভঙ্গের কারণ হচ্ছে ৭ টি। যেগুলি হলো:

১. পেশাব বা পায়খানার রাস্তা দিয়ে কোন কিছু বের হওয়া।

যেমন বায়ু, পেশাব-পায়খানা, কোন পরজীবী পোকা ইত্যাদি। তাই পেশাব পায়খানা করার পর অবশ্যই অজু করে নেওয়া উচিত।

২. শরীরের কোন অংশ দিয়ে রক্ত, পুজ কিংবা পানি গড়িয়ে পড়লে।

এ কারণে অজু ভেঙ্গে যাবে।

এ ব্যাপারে একটি হাদিস রয়েছে যে, আব্দুল্লাহ বিন ওমর (রা.) এর নাক দিয়ে রক্ত ঝরতো এবং তিনি ফিরে গিয়ে পুনরায় অজু করে নিতেন। (মত্তা মালিক, হাদিস: ১১০)

এই ওযু ভঙ্গের কারণ গুলো হয়তো আমরা অনেকেই জানিনা।

৩. মুখ ভর্তি করে বমি করা।

আয়েশা (র.) হতে বর্ণিত আছে। আমাদের প্রিয় নবী রাসুল (সা.) বলেন, যদি কোন কারনে কোন ব্যক্তির বমি হয় অথবা নাক দিয়ে রক্ত পড়ে তাহলে সে ওযু করে নিবে। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস:১২২১)

ওযু ভঙ্গের কারণ গুলো কি কি

৪. থুতুর সঙ্গে রক্ত বের হওয়া।

যদি কোন ব্যক্তির থুতুর সমান ভাগ বা তার চাইতে বেশি পরিমাণে রক্ত বের হয় তাহলে তাকে পুনরায় ওযু করে নিতে হবে। আর যদি থুতুর পরিমাণে অর্ধেক পরিমাণ রক্ত বের হয় তাহলে অজু করা আবশ্যক নয়।

৫. চিৎ কিংবা কাত হয়ে ঘুমানো।

আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (র.) থেকে বর্ণিত আছে, আমাদের প্রিয় নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোন ব্যক্তি যদি সিজদা অবস্থায় ঘুমায় তাহলে ওযু ভঙ্গ হবে না। তবে চিৎ হয়ে শুয়ে ঘুমালে ওযু ভঙ্গ হয়ে যাবে। কেননা এতে করে শরীর ঢিলা হয়ে যায়। ফোনে বাতকর্ম হবার সম্ভাবনা রয়েছে। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ২০২)

৬. মাতাল কিন্তু অচেতন হলে

কোন পাগল ব্যক্তি যদি সুস্থ হয় তখন তাকে নামাজের জন্য অজু করতে হবে। সেই সাথে কোন ব্যক্তি যদি অচেতন, ওষুধ বা মাদকের প্রভাবে অচেতন হয়ে যায় বা মাতাল হয় তাহলে তাকে অজু করে নিতে হবে। অনেকেই এটিকে ওযু ভঙ্গের কারণ গুলোর মধ্যেও মনে নাও করতে পারেন। তবে এ কারণে অজু ভেঙ্গে যায়।

৭. নামাজের মধ্যে উচ্চ স্বরে হাসি দিলে

মহানবী (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি নামাজের মধ্যে উচ্চস্বরে হাসে সে যেন পুনরায় অজু ও নামাজ পুনরায় আদায় করে।

ওযু ভঙ্গের কারণ গুলো কি কি সেগুলো সম্পর্কে আশা করি আপনাদের স্পষ্ট ধারণা হয়েছে। ওযু সঠিক না হলে কখনোই নামাজ কবুল হবে না। তাই এই বিষয়গু লোর সম্পর্কে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। কোন কারনে অজু ভেঙ্গে গেলে সাথে সাথে ওযু করে নিয়ে নামাজ আদায় করতে হবে।

তওবা করার নিয়ম ও দোয়া জানতে এখানে প্রবেশ করুন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ওযু ভঙ্গের কারণ গুলো কি কি

আপডেট সময় : ০২:২৮:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪

নামাজ হচ্ছে বেহেস্তের চাবি। আর নামাজ কবুল হওয়ার পূর্ব শর্ত হচ্ছে সঠিক নিয়মে। তাইতো ওযু ভঙ্গের কারণ গুলো আমাদের জানা থাকা উচিত এবং এ ব্যাপারে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। কারণ ওযু সঠিক না হলে নামাজ হবে না। তাই ওজু যদি কোন কারণে ভেঙে যায় তাহলে নতুন করে অজু করে নেয়া উত্তম। সেই সাথে ওজুর সওয়াব এবং ফজিলত অনেক বেশি।

আমাদের আজকের আলোচনায় চলুন জেনে নেই অজু ভঙ্গের কারণ গুলো কি কি। নিম্নে আমি ধারাবাহিকভাবে সেগুলো আলোচনা করছি।

ইসলামে মৌলিকভাবে ওযু ভঙ্গের কারণ হচ্ছে ৭ টি। যেগুলি হলো:

১. পেশাব বা পায়খানার রাস্তা দিয়ে কোন কিছু বের হওয়া।

যেমন বায়ু, পেশাব-পায়খানা, কোন পরজীবী পোকা ইত্যাদি। তাই পেশাব পায়খানা করার পর অবশ্যই অজু করে নেওয়া উচিত।

২. শরীরের কোন অংশ দিয়ে রক্ত, পুজ কিংবা পানি গড়িয়ে পড়লে।

এ কারণে অজু ভেঙ্গে যাবে।

এ ব্যাপারে একটি হাদিস রয়েছে যে, আব্দুল্লাহ বিন ওমর (রা.) এর নাক দিয়ে রক্ত ঝরতো এবং তিনি ফিরে গিয়ে পুনরায় অজু করে নিতেন। (মত্তা মালিক, হাদিস: ১১০)

এই ওযু ভঙ্গের কারণ গুলো হয়তো আমরা অনেকেই জানিনা।

৩. মুখ ভর্তি করে বমি করা।

আয়েশা (র.) হতে বর্ণিত আছে। আমাদের প্রিয় নবী রাসুল (সা.) বলেন, যদি কোন কারনে কোন ব্যক্তির বমি হয় অথবা নাক দিয়ে রক্ত পড়ে তাহলে সে ওযু করে নিবে। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস:১২২১)

ওযু ভঙ্গের কারণ গুলো কি কি

৪. থুতুর সঙ্গে রক্ত বের হওয়া।

যদি কোন ব্যক্তির থুতুর সমান ভাগ বা তার চাইতে বেশি পরিমাণে রক্ত বের হয় তাহলে তাকে পুনরায় ওযু করে নিতে হবে। আর যদি থুতুর পরিমাণে অর্ধেক পরিমাণ রক্ত বের হয় তাহলে অজু করা আবশ্যক নয়।

৫. চিৎ কিংবা কাত হয়ে ঘুমানো।

আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (র.) থেকে বর্ণিত আছে, আমাদের প্রিয় নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোন ব্যক্তি যদি সিজদা অবস্থায় ঘুমায় তাহলে ওযু ভঙ্গ হবে না। তবে চিৎ হয়ে শুয়ে ঘুমালে ওযু ভঙ্গ হয়ে যাবে। কেননা এতে করে শরীর ঢিলা হয়ে যায়। ফোনে বাতকর্ম হবার সম্ভাবনা রয়েছে। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ২০২)

৬. মাতাল কিন্তু অচেতন হলে

কোন পাগল ব্যক্তি যদি সুস্থ হয় তখন তাকে নামাজের জন্য অজু করতে হবে। সেই সাথে কোন ব্যক্তি যদি অচেতন, ওষুধ বা মাদকের প্রভাবে অচেতন হয়ে যায় বা মাতাল হয় তাহলে তাকে অজু করে নিতে হবে। অনেকেই এটিকে ওযু ভঙ্গের কারণ গুলোর মধ্যেও মনে নাও করতে পারেন। তবে এ কারণে অজু ভেঙ্গে যায়।

৭. নামাজের মধ্যে উচ্চ স্বরে হাসি দিলে

মহানবী (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি নামাজের মধ্যে উচ্চস্বরে হাসে সে যেন পুনরায় অজু ও নামাজ পুনরায় আদায় করে।

ওযু ভঙ্গের কারণ গুলো কি কি সেগুলো সম্পর্কে আশা করি আপনাদের স্পষ্ট ধারণা হয়েছে। ওযু সঠিক না হলে কখনোই নামাজ কবুল হবে না। তাই এই বিষয়গু লোর সম্পর্কে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। কোন কারনে অজু ভেঙ্গে গেলে সাথে সাথে ওযু করে নিয়ে নামাজ আদায় করতে হবে।

তওবা করার নিয়ম ও দোয়া জানতে এখানে প্রবেশ করুন।