দেশজুড়ে ছাত্র জনতার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের জেরে স্থগিত করা হয়েছিলো এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। সেই পরীক্ষায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল আগামী ১১ আগস্ট থেকে। কিন্তু বাংলাদেশের বিভিন্ন থানা এবং ট্রেজারিতে সংরক্ষিত থাকা এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পুড়ে গিয়েছে। যার কারণে এইচএসসি পরীক্ষা আগামী ১১ আগস্ট থেকে হচ্ছে না।

ইতিমধ্যে এই বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন কেন্দ্র গুলোতে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের চিঠি পাঠানো হয়েছে। আমরা জানি দেশজুড়ে বিগত বেশ কিছুদিন ধরে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকে ঘিরে অস্তিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সেই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সকল চলমান পরীক্ষা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছিলো। সেই সাথে বন্ধ ছিল এইচএসসি এবং সমমানের পরীক্ষা। যে পরীক্ষাটি আগামী ১১ আগস্ট থেকে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গত ৭ আগস্ট বুধবার বাংলাদেশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেক এইচএসসি এবং সমমানের পরীক্ষার বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়। সেই সাথে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড কমিটির পক্ষ থেকে বিভিন্ন জায়গায় চিঠি পাঠানো হয়।

বাংলাদেশ শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক আবুল বাশার স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, অনিবার্য কারনবশত এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আগামী ১১ আগস্ট থেকে যেটি হওয়ার কথা ছিল সেগুলো স্থগিত করা হলো। এইচএসসি পরীক্ষার পরবর্তী সময়সূচি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে। কারণ হিসেবে জানা যায় বিভিন্ন স্থানে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পড়ে গিয়েছে।

এইচএসসি পরীক্ষার সময়সূচি পরে জানানো হবে

দেশজুড়ে চলমান কোটা সংস্কার এবং বৈষম্য বিরুদ্ধে আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের বিভিন্ন স্থানের সমস্যা তার ঘটনা ঘটে। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উপরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলি এবং বিভিন্ন নাশকতার জন্য সকল শ্রেণীর ক্লাস বন্ধ রাখা হয়েছিলো। যদিও এইচএসসি এবং সমাপনীর পরীক্ষা গুলো শেষ হওয়ার কথা ছিল আগামী ১১ আগস্ট। কিন্তু সেই পরীক্ষা গুলো আরো পিছিয়ে যাবে।

২০২৪ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে গত ৩০ শে জুন থেকে। বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের অনুষ্ঠিতব্য এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে মোট ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন শিক্ষার্থী। ইতিমধ্যে বেশ কয়েক দফায় পরীক্ষার স্থগিত করা হয়েছিল। পরবর্তী এইচএসসি পরীক্ষার সময়সূচি বিজ্ঞপ্তি মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।

এদিকে বেশ কয়েক দফায় এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তিত হয় শিক্ষার্থীরা বেশ বিব্রতিকর পরিস্থিতিতে পড়ছেন। তাই তাদেরকে পরবর্তী রুটিন না পাওয়া পর্যন্ত ধৈর্য ধরার আহ্বান জানানো হয়েছে।

রিজিক কমে যাওয়ার কারণ জানতে এখানে প্রবেশ করুন।