ইসলামে মেয়েদের চাকরি

- আপডেট সময় : ০২:২০:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০২৪ ৫৫ বার পড়া হয়েছে
নানা কারণে ইসলামে মেয়েদের চাকরি বিধান নিয়ে অনেকেই জানতে আগ্রহী। এর কারণ হচ্ছে আমাদের বর্তমান সময়ে নারীদের উপার্জন নিয়ে প্রচুর আলোচনা, সমালোচনা এবং তর্ক – বিতর্কের সৃষ্টি হচ্ছে। সমাজের অনেকেই নারীদের উপার্জনের বিষয়টি এখনো মেনে নিতে পারেননি।
তবে মধ্যমপন্থীদের অভিমত হলো নারীরা তাদের পর্দা, স্বকীয় বৈশিষ্ট্য এবং মানসম্মান বজায় রেখে কোন একটি উপার্জনের পথ বেছে নিতে পারেন। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় আমাদের প্রিয় নবী রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আমলে বেশ কয়েকজন মহিলা সাহাবীরা অর্থ উপার্জন করতেন। ঐ সকল সাহাবীরা মদিনার বাজারে বিভিন্ন বিজনেস করতেন এমনকি কৃষি কাজের সাথে জড়িত ছিলেন। সেগুলো অবশ্য ভিন্ন প্রসঙ্গ।
ইসলামের মেয়েদের চাকরির বিধান কি?
বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। বাংলাদেশের গার্মেন্টস কারখানা সহ অনেক শিল্প কারখানায় নারীদের সংখ্যা বেশি। এ সকল কর্মজীবী নারীরা দেশের উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ইসলাম নারীদেরকে সর্বদা শালীন ইসলাম শরীয়ত অনুযায়ী পর্দা করা এবং চলাফেরার বিধান দিয়েছেন। শরীয়তের অন্তর্ভুক্ত থেকে যেকোনো কাজে অংশগ্রহণ করতে পারেন নারীরা।
কিন্তু পর্দার বরখেলাপ হয়, বেগানা পুরুষের সাথে দেখা হওয়ার সুযোগ আছে এরকম কোন কাজে যুক্ত হওয়া ইসলামে পুরোপুরিভাবে নিষেধ করা হয়েছে।
ইসলাম মেয়েদের চাকরির ব্যাপারে আরো বলেছে, সাধারণত পুরুষদের কে সৃষ্টি করা হয়েছে অর্থ উপার্জন এবং সংসারের সবার ভরনপোষণের জন্য। এদের থেকে মেয়েদের আলাদা এবং নিজস্ব স্বকীয়তা রয়েছে। মহান আল্লাহ তা’আলা মেয়েদেরকে তৈরি করেছেন ঘর, বাচ্চাকাচ্চা এবং খাবার তৈরি করার জন্য। সেদিক বর্তমান পরিস্থিতিতে মেয়েদের বাইরে গিয়ে পুরুষের সাথে একসাথে কাজ করে অর্থ উপার্জন এর ব্যাপারে পুরোপুরি নিষেধ করেছেন।
ইসলামে মেয়েদের চাকরি
তবে পর্দা করে মেয়েরা যেকোনো ধরনের বিজনেস কিংবা কোন পুরুষের সাথে হারাম কাজে যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই এরকম চাকরি মেয়েরা করতে পারে। তাছাড়া নারীদের সৌন্দর্য প্রকাশ করা হয় এরকম কাজে নিয়োজিত হতে ইসলাম নিষেধ করেছেন।
এছাড়া ইসলামের মেয়েদের চাকরি করার পাশাপাশি ইসলাম অনুমোদিত সকল ব্যবসা কিংবা কাজ করে অর্থ উপার্জনের অনুমতি দিয়েছে। এতে ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হওয়ার কোন সুযোগ নেই। তবে এটি অবশ্যই মনে রাখা উচিত যে ইসলাম কিন্তু নারীদেরকে সংসারের ভরনপোষণের কোনো দায়িত্ব দেয় নি।
কোন নারী যদি অভিভাবক ছাড়া হন কিংবা তার স্বামী মারা যায় সেক্ষেত্রে কিছু শর্তসাপেক্ষে তিনি অর্থ উপার্জনের দায়িত্ব কিংবা পরিবারের ভরণপোষণের দায়িত্ব নিতে পারেন।
ইসলামী মেয়েদের চাকরি করা কিংবা বিজনেস করে অর্থ উপার্জন করার অনুমতিটি ক্ষেত্র বিশেষে এবং শর্তসাপেক্ষে জায়েজ আছে। তবে একে সব দিক থেকেই নিরোৎসাহিত করা হয়েছে।
মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় জানতে এখানে প্রবেশ করুন।