ইতালি যেতে কত টাকা লাগে এবং বেতন কত

- আপডেট সময় : ০৬:৫৮:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই ২০২৪ ৬২ বার পড়া হয়েছে
অনেকে জানতে চান স্বপ্নের দেশ ইতালিতে যেতে কত টাকা লাগে এবং বেতন কত। পশ্চিম ইউরোপের অন্তর্ভুক্ত উন্নত দেশ গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ইতালি। এছাড়াও ইতালি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত একটি দেশ। ইতালির রাজধানী হচ্ছে রোম। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে উন্নত জীবনের আশায় অনেক মানুষ ইতালিতে পাড়ি জমায়। কারণ অন্যান্য দেশের চাইতে ইতালিতে বেতন অনেক বেশি পাওয়া যায়।
আপনি যদি ইতালিতে যেতে চান তাহলে সবার আগে আপনাকে জানতে হবে ইতালি যেতে কত টাকা লাগে? বেতন কত? ভিসা পাওয়ার উপায় এবং অন্যান্য বিষয়াদি সম্পর্কে।
ইতালি যেতে কত টাকা লাগে?
প্রতিবছরই বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষই ইতালিতে পাড়ি জমায়। টাকার পরিমাণ নির্ভর করে আপনি আসলে কি উদ্দেশ্যে এবং কোন প্রকারের ভিসা নিয়ে যাচ্ছেন তার ওপর। ইতালি সরকার সাধারণত সিজনাল এবং নন সিজনাল দুই উপায়ে ভিসা প্রদান করে থাকে। সিজনাল ভিসা হচ্ছে ২ থেকে ৩ মাসের জন্য ঘুরতে যাওয়া বা কোন কাজের উদ্দেশ্যে যাওয়া। এ ধরনের ভিসার জন্য সাধারণত খরচ হয় ৪ লাখ টাকার মত।
তবে দীর্ঘদিন কাজ করার জন্য ইতালিতে যেতে চাইলে আপনাকে নন সিজনাল ভিসা নিতে হবে। এজন্য খরচ হতে পারে ১০ থেকে ১৮ লাখ টাকা পর্যন্ত।
প্রতি বছর সরকারিভাবে বাংলাদেশ থেকেই ইতালিতে জনবল পাঠানো হয়। আপনি সরকারি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি গুলো দেখে সেখানে আবেদন করতে পারেন। সে ক্ষেত্রেও খরচ মোটামুটি একই রকম।
ইতালিতে বেতন কত?
ইতালি যেতে কত টাকা লাগে সে সম্পর্কে আপনাদের কিছুটা ধারণা হয়েছে। চলুন জেনে নেই ইতালিতে আপনি কি পরিমান টাকা আয় করতে পারবেন বা ইতালিতে বেতন কত। কাজের ধরনের উপড় ভিত্তি করে ইতালিতে ৬০/৭০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৩/৪ লাখ টাকা পর্যন্ত বেতন পাওয়া যায়। তবে অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতার উপর ভিত্তি করে এই বেতনের পরিমাণ আরো অনেক বেশি হতে পারে।
ইতালির ভিসা পেতে কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হয়?
ইতালিতে যেতে কত টাকা লাগে শুধু সেটা জানলেই হবে না। এর পাশাপাশি আমাদের জানতে হবে ইতালিতে ভিসা পাওয়ার জন্য কি কি কাগজ প্রয়োজন হয়। কাগজ গুলির তালিকা নিম্নে দেওয়া হলো:
১. একটি সরকার অনুমোদিত ডিজিটাল কিংবা ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট।
২. সকল ধরনের শিক্ষাগত যোগ্যতার সনপত্র
৩. জাতীয় পরিচয় পত্র এবং জন্ম নিবন্ধন। তবে জন্ম নিবন্ধনটি অবশ্যই ইংলিশ ভার্শন এবং অনলাইন করা থাকতে হবে।
৪. চাকুরীর উদ্দেশ্যে ইতালি যেতে চাইলে জব অফার লেটার।
৫. করোনার টিকা কার্ড।
৬. লেখাপড়ার উদ্দেশ্যেই তাহলে যেতে চাইলে IELTS এর সনদপত্র।
৭. ভিসার জন্য করা আবেদন ফরম।
৮. বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ হতে ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।
৯. যদি ইতালির কোন কোম্পানি আপনাকে জব অফার করে কিংবা বাংলাদেশের কোন কোম্পানির পক্ষ থেকে ইতালি আপনাকে পাঠানো হয় তাহলে স্পন্সরের সত্যায়িত কপি।
ইতালি যেতে কত টাকা লাগে এবং বেতন কত
এছাড়াও ভিসার ধরন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী অন্যান্য আরো কিছু কাগজ লাগতে পারে।
ইতালিতে ভিসা আবেদন করার নিয়ম
ইতালিতে যেতে কত টাকা লাগে এবং বেতন কত সে সম্পর্কে আপনাদের জানার পাশাপাশি এটিও জানতে হবে যে ইতালির ভিসা পেতে কি কি ভাবে আবেদন করতে হয়। ইতালির ভিসা পাওয়ার জন্য আপনার পাসপোর্ট এর মেয়াদ কমপক্ষে ৬ মাসে অবশিষ্ট থাকতে হবে।
সরকারি ভাবে ইতালির ভিসা পেতে চাইলে আপনি সরাসরি এম্বাসির সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আবার ইতালিতে ইতিমধ্য জব করে তাদের মাধ্যমে আপনি ভেসে যাইতে পারেন।
ইতালির ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা
ইতালির মুদ্রাকে হিসাব করা হয় ইতালিয়ান ইউরোর হিসাবে। এক ইতালিয় ইউরো বাংলাদেশের প্রায় ১১৭ টাকার সমান। তবে বিভিন্ন সময় এই টাকার মূল্য মান উঠানামা করে।
বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়ার উপায়
বাংলাদেশ থেকে আপনি বিভিন্ন পদ্ধতিতে ইতালি যেতে পারেন। লেখাপড়ার উদ্দেশ্যে, চিকিৎসার উদ্দেশ্যে, কিংবা সরকারিভাবে কাজের উদ্দেশ্য যেতে পারে। তবে আরব দেশ গুলোর তুলনায় ইতালিতে যাওয়ার খরচ অনেক বেশি ব্যবহার। তাই কারো সাথে চুক্তি করার আগে অবশ্যই ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করে নিবেন, তা না হলে প্রতারিত হওয়ার সুযোগ থাকে।
আশা করি ইতালিতে যেতে কত টাকা লাগে, বেতন কত, ভিসা কিভাবে পাওয়া যায় এবং কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হয় সে সম্পর্কে আপনারা পুরোপুরি বুঝতে পেরেছেন। আপনি যদি ইতালিতে যাওয়ার ব্যাপারে মনস্থির করে থাকেন তাহলে এব্যাপারে আরও বিস্তারিত জেনে নিবেন।
পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর উপায় জানতে এখানে প্রবেশ করুন।