ছাত্র আন্দোলনের ৯ দফা দাবি পূরণ করতে হবে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৩৬:০০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪ ৬৫ বার পড়া হয়েছে

ছাত্র আন্দোলনের ৯ দফা দাবি পূরণ করতে হবে

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কোটা সংস্কারের ছাত্র আন্দোলনের ৯ দফা দাবি পূরণের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। গত ২৫ শে জুলাই বুধবার সারাদেশে বিরাজমান পরিস্থিতি নিয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়কদের দল যৌথভাবে এই বিবৃতি জানান।

ছাত্র আন্দোলনের ৯ দফা দাবি পূরণের বিবৃতিতে তারা আরও উল্লেখ করেন, সারাদেশে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর ব্যাপক নির্যাতন চালানো হয়েছে। বিগত কয়েকদিনে প্রায় ৩ শতাধিক ছাত্র সাধারণ ছাত্র এবং সাধারণ জনতার মৃত্যু হয়েছে। সেই সাথে গুম করা হয়েছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বেশ কয়েকজন সমন্বয়ক ও সহকারী সমন্বয়ককে। এছাড়া বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদের বাবা তার ছেলের মৃত দেহকে খুঁজে পেতে হাসপাতালের মর্গে মর্গে পর্যন্ত ঘুরেছেন। এমনকি সামরিক হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে কোমলমতি শিশুকে মারার অভিযোগ উঠেছ। ছাত্র আন্দোলনের ৯ দফা দাবি পূরণের পরিপ্রেক্ষিতে অত্যন্ত দ্ব্যার্থহীন গলায় বলতে চাই, শুধুমাত্র আদালতের রায় ও প্রজ্ঞাপন ঘোষণা দিয়ে কোটা ব্যবস্থার সংস্কার করে সরকার সারা দেশব্যাপী এই চলমান পরিস্থিতির দায় কোনভাবেই এড়াতে পারে না।

তাই এখন ছাত্র আন্দোলনের ৯ দফা দাবি সাধারণ গণ মানুষের দাবিতে পরিণত হয়েছে। বলা যেতে পারে এটি সারা বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির সনদ।

ছাত্র আন্দোলনের ৯ দফা দাবি গুলি হল:

১. বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে সারাদেশে ছাত্র হত্যার দায় নিয়ে জাতির উদ্দেশ্যে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।

২. একইভাবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী কর্তৃক সকল ঘটনার দায় নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ওবায়দুল কাদের (সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী), মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল (শিক্ষামন্ত্রী), আনিসুল হক (আইনমন্ত্রী) এদের মন্ত্রিপরিষদ এবং দল থেকে পদত্যাগ করতে হবে।

৩. ঢাকা এবং সারা বাংলাদেশের যত জায়গায় ছাত্র এবং সাধারণ জনগণ শহীদ হয়েছে সেখানকার পুলিশের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করতে হবে।

ছাত্র আন্দোলনের ৯ দফা দাবি পূরণ করতে হবে

৪. বাংলাদেশের জনপ্রিয় বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা, জাহাঙ্গীর ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি এবং প্রক্টরদের স্বীয় পদ হতে পদত্যাগ করতে হবে।

৫. ছাত্র আন্দোলনের ৯ দফা দাবি গুলোর মধ্যে ৫ নম্বরে রয়েছে যে সকল পুলিশ সদস্যরা এবং ছাত্রলীগ যুবলীগ সহ সন্ত্রাসীরা যারা সাধারণ শিক্ষার্থীর উপরে গুলি করেছে এবং আটক করার নির্দেশ দিয়েছে তাদেরকে হত্যা মামলার দায় দায়ের করে দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার দেখাতে হবে।

৬. অতি দ্রুত বাংলাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং আবাসিক হল গুলো খুলে দিতে হবে।

৭. দেশ সারাদেশে যে সকল সাধারণ শিক্ষার্থী এবং সাধারণ জনগণ শহীদ এবং আহত হয়েছেন তাদের পরিবারকে সে অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

৮. সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক দলীয় সংগঠন এবং ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করে শুধুমাত্র ছাত্র সংশোধন কে কার্যকর করতে হবে।

৯. যে সকল শিক্ষার্থী গোটা আন্দোলনের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিল তাদেরকে একাডেমী কিংবা প্রশাসনিক ভাবে কোন রকম হয়রানি করা যাবে না এই মর্মে অঙ্গীকার করতে হবে।

উপরিক্ত দাবিগুলোই হচ্ছে ছাত্র আন্দোলনের ৯ দফা দাবি।

আন্দালিব রহমান পার্থকে গ্রেফতার বিস্তারিত জানতে এখানে প্রবেশ করুন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ছাত্র আন্দোলনের ৯ দফা দাবি পূরণ করতে হবে

আপডেট সময় : ১০:৩৬:০০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪

কোটা সংস্কারের ছাত্র আন্দোলনের ৯ দফা দাবি পূরণের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। গত ২৫ শে জুলাই বুধবার সারাদেশে বিরাজমান পরিস্থিতি নিয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়কদের দল যৌথভাবে এই বিবৃতি জানান।

ছাত্র আন্দোলনের ৯ দফা দাবি পূরণের বিবৃতিতে তারা আরও উল্লেখ করেন, সারাদেশে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর ব্যাপক নির্যাতন চালানো হয়েছে। বিগত কয়েকদিনে প্রায় ৩ শতাধিক ছাত্র সাধারণ ছাত্র এবং সাধারণ জনতার মৃত্যু হয়েছে। সেই সাথে গুম করা হয়েছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বেশ কয়েকজন সমন্বয়ক ও সহকারী সমন্বয়ককে। এছাড়া বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদের বাবা তার ছেলের মৃত দেহকে খুঁজে পেতে হাসপাতালের মর্গে মর্গে পর্যন্ত ঘুরেছেন। এমনকি সামরিক হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে কোমলমতি শিশুকে মারার অভিযোগ উঠেছ। ছাত্র আন্দোলনের ৯ দফা দাবি পূরণের পরিপ্রেক্ষিতে অত্যন্ত দ্ব্যার্থহীন গলায় বলতে চাই, শুধুমাত্র আদালতের রায় ও প্রজ্ঞাপন ঘোষণা দিয়ে কোটা ব্যবস্থার সংস্কার করে সরকার সারা দেশব্যাপী এই চলমান পরিস্থিতির দায় কোনভাবেই এড়াতে পারে না।

তাই এখন ছাত্র আন্দোলনের ৯ দফা দাবি সাধারণ গণ মানুষের দাবিতে পরিণত হয়েছে। বলা যেতে পারে এটি সারা বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির সনদ।

ছাত্র আন্দোলনের ৯ দফা দাবি গুলি হল:

১. বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে সারাদেশে ছাত্র হত্যার দায় নিয়ে জাতির উদ্দেশ্যে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।

২. একইভাবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী কর্তৃক সকল ঘটনার দায় নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ওবায়দুল কাদের (সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী), মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল (শিক্ষামন্ত্রী), আনিসুল হক (আইনমন্ত্রী) এদের মন্ত্রিপরিষদ এবং দল থেকে পদত্যাগ করতে হবে।

৩. ঢাকা এবং সারা বাংলাদেশের যত জায়গায় ছাত্র এবং সাধারণ জনগণ শহীদ হয়েছে সেখানকার পুলিশের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করতে হবে।

ছাত্র আন্দোলনের ৯ দফা দাবি পূরণ করতে হবে

৪. বাংলাদেশের জনপ্রিয় বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা, জাহাঙ্গীর ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি এবং প্রক্টরদের স্বীয় পদ হতে পদত্যাগ করতে হবে।

৫. ছাত্র আন্দোলনের ৯ দফা দাবি গুলোর মধ্যে ৫ নম্বরে রয়েছে যে সকল পুলিশ সদস্যরা এবং ছাত্রলীগ যুবলীগ সহ সন্ত্রাসীরা যারা সাধারণ শিক্ষার্থীর উপরে গুলি করেছে এবং আটক করার নির্দেশ দিয়েছে তাদেরকে হত্যা মামলার দায় দায়ের করে দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার দেখাতে হবে।

৬. অতি দ্রুত বাংলাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং আবাসিক হল গুলো খুলে দিতে হবে।

৭. দেশ সারাদেশে যে সকল সাধারণ শিক্ষার্থী এবং সাধারণ জনগণ শহীদ এবং আহত হয়েছেন তাদের পরিবারকে সে অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

৮. সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক দলীয় সংগঠন এবং ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করে শুধুমাত্র ছাত্র সংশোধন কে কার্যকর করতে হবে।

৯. যে সকল শিক্ষার্থী গোটা আন্দোলনের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিল তাদেরকে একাডেমী কিংবা প্রশাসনিক ভাবে কোন রকম হয়রানি করা যাবে না এই মর্মে অঙ্গীকার করতে হবে।

উপরিক্ত দাবিগুলোই হচ্ছে ছাত্র আন্দোলনের ৯ দফা দাবি।

আন্দালিব রহমান পার্থকে গ্রেফতার বিস্তারিত জানতে এখানে প্রবেশ করুন।